কেমিক্যাল ও কাঁচামাল সংকট: এস আলম গ্রুপের ৯ কারখানা বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: এস আলম গ্রুপের ৯ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গ্রুপটির মানব সম্পদ ও প্রশাসন প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধের বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, কারখানার সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্যকারণবশত আগামী ২৫ডিসেম্বর …

নিজস্ব প্রতিবেদক: এস আলম গ্রুপের ৯ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গ্রুপটির মানব সম্পদ ও প্রশাসন প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধের বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, কারখানার সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্যকারণবশত আগামী ২৫ডিসেম্বর হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকবে। তবে, নিরাপত্তা বিভাগ, ডেলিভারি সেকশন ও শুধুমাত্র জরুরী বিভাগ সমূহ (ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক) খোলা থাকবে। নোটিশে কারখানা খোলার তারিখ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বন্ধ ঘোষণা করা ৯ টি কারখানা হলো এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম স্টিলস লিমিটেড, এস আলম ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং মিলস লিমিটেড, চেমন ইসপাত লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস নফ লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ৯ টি কারখানার মধ্যে ২ টি কর্ণফুলীর ইছানগর এলাকায়, ৩টি মইজ্জারটেক এলাকায় এবং ৪ টি কর্ণফুলী থানার শিকলবাহার কালারপুর এলাকায় অবস্থিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রুপটির এক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এস আলম গ্রুপের সব ধরণের ব্যাংক লেনদেন বন্ধ, এলসি করা যাচ্ছে না ফলে কারখানাগুলো চালানোর জন্য যে কাচামাল গুলো আনা দরকার তা আমদানি করতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকায় শ্রমিকদেরও বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের, এতদিন নগদ টাকায় বেতন দিতে পারলেও। ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকায় ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন দিতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানটি। তবে শ্রমিকদের বেতন ভাতা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, শ্রমিকরা কাজ না করলেও তাদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা হবে। যেহেতু কাচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না, সেহেতু শুধু শুধু কারখানা চালু রেখে কোন লাভ নেই। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হলে, আবারো কারখানা চালু করা হবে।

Country News BD

Country News BD

Subscribe to Our Newsletter

Keep in touch with our news & offers

What to read next...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *