অনলাইন ডেক্স: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বীরত্ব দেখিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। যখন বাংলাদেশ দল ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায়, তখন হাল ধরেন তিনি। জাকের আলি অনিককে নিয়ে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন। এর ফলে হৃদয় প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পান, তার ১০০ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২২৮ রানে থামে। যদিও শুবমান গিলের অপরাজিত সেঞ্চুরি ভারতকে জয় এনে দেয়, তাই দলের হার নিয়ে হৃদয়ের উচ্ছ্বাস নেই। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতক, তবে সবটুকুই বৃথা যখন দল হেরে যায়।’
বাংলাদেশ হারলেও হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরির প্রশংসা করছেন সমর্থকরা। ম্যাচ চলাকালীন পায়ের মাংসপেশীতে টান পড়লেও, তিনি ব্যথা নিয়েই দীর্ঘ সময় ব্যাট করেছেন এবং কয়েকবার পড়ে গেছেন ক্রিজে। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বেশ স্বাভাবিক ছিলেন এবং বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখন ভালো আছি।’
পরের ম্যাচে হৃদয়ের খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে হৃদয় নিজে বলেন, ‘শতরানের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তবে মন খারাপ। হয়তো আমি আরও একটু ভালো খেললে দলের জন্য ভালো হতো। পরের ম্যাচে ফিরতে চাই, যত কষ্টই সহ্য করতে হোক না কেন।’
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে খেলতে হবে শান্তবাহিনীকে। হৃদয়ের মতে, বাংলাদেশ ৩০-৪০ রান কম করেছে। ব্যথা না পেলে তিনি ওই ঘাটতি পূরণ করতে পারতেন। তিনি বলেন, ‘৫ উইকেট পড়ার পর আমাদের কাজ সহজ ছিল না। আমি অনেক ডট বল দিলেও পরে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পায়ের পেশীতে টান পড়ায় সমস্যা হয়ে যায়। ঠিকঠাক থাকলে ওই ৩০-৩৫ রান আমিও করতে পারতাম।’








