অনলাইন ডেক্স: চট্টগ্রাম বিভাগের দুর্নীতির মামলা বিচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ জজ আদালতটি গত ৬ বছরে ২৮ মাস এবং ৬ মাস বিচারকশূন্য অবস্থায় ছিল, যার কারণে বিচারকাজ থমকে গেছে।
বর্তমানেও বিচারক বদলির পর আদালতের কার্যক্রমে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চার জেলার দুর্নীতির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।
এ আদালতে এখন পর্যন্ত ৬০৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে, যার মধ্যে ৩৪৬টি দুর্নীতি এবং অর্থপাচারের মামলা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামলা হলো রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধাসহ তার সহযোগিদের দুর্নীতির ১১টি মামলা, যেগুলোর মধ্যে তিনটি শেষপর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া, টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা রয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও দীর্ঘকাল ধরে চলমান, এবং বর্তমানে বিচারকশূন্যতায় মামলার কার্যক্রম আরও বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, সিডিএ, বন্দর-কাস্টমসের দুর্নীতি মামলাগুলোরও বিচারাধীন রয়েছে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি জন্য আদালতের শূন্য পদ পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। আইনজীবীরা জানান, তারা বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারক নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনো সুরাহা হয়নি।
দুর্নীতিবাজদের বিচার না হওয়া, বিচারক সংকটের কারণে মামলা ঝুলে থাকায় বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। আইনবিদ ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে বিচারক সংকট ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।








