অনলাইন ডেক্স:পাহাড়ের ঝরনা ও ঝিরির পানি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য সেগুন গাছ লাগানোকে দায়ী করে মানুষকে সেগুনের পরিবর্তে বাঁশ গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অ্যানেক্স হলরুমে “জলবায়ু পরিবর্তনে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ” শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ (লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ – লজিক) প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা পলাশ খীসা।
কাজল তালুকদার বলেন, ঝিরি-ঝরনার পানি পাহাড়ের মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এগুলো রক্ষা করতে হবে। সেগুন গাছ কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণ বয়ে এনেছে। এই গাছে পাখি বসে না, বড় বড় বিষাক্ত পাতা ঝরে, আর কোনো অন্য গাছ বা গুল্ম জন্মায় না।”
তিনি আরও বলেন, “পাহাড়ে বাঁশের ঝাড় কমে গেছে। একসময় কর্ণফুলী পেপার মিল সাজেকের কাচালং ও মাচালং এলাকার বাঁশঝাড় থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করত। এখন সেই বাঁশঝাড় আর নেই।”
বাঁশ গাছ লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “পাহাড়িদের ঘর বাঁশ দিয়ে তৈরি হতো, যা তাদের ঐতিহ্যের অংশ। আধুনিকতার প্রভাবে এই ঐতিহ্য এখন হারিয়ে যাচ্ছে।“
সভায় যুবকদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাং শাহজাহান, লজিক প্রকল্পের মনিটরিং স্পেশালিস্ট টিএম সেলিম, ক্লাইমেট চেঞ্জ কো-অর্ডিনেটর আমেনা ইয়াসমিন, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর শাকিলা ইসলামসহ আরও অনেকে।
সভার আগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় উদ্যোগ এবং সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরে সেগুন গাছের পরিবর্তে বাঁশ গাছ লাগানোর আহ্বান পাহাড়ি জীববৈচিত্র্য এবং পানি সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।








