অনলাইন ডেক্স:রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে রয়েছে হ্রদ ও কর্ণফুলী নদী, কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এই জলরাশি বেষ্টিত অঞ্চলে নেই সাঁতার শেখানোর কোনো প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোগ। এর ফলস্বরূপ, প্রতিবছর কাপ্তাইয়ের হ্রদ বা নদীতে সাঁতার না জানা শিশু-কিশোররা ডুবে মারা যায়। এই তালিকায় বয়স্করাও রয়েছেন।
সম্প্রতি, কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে চট্টগ্রাম রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী প্রিয়ন্ত দাশ ও শাওন দত্ত ডুবে মারা যান। বিগত ৫ বছরে অন্তত ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে শিশুকিশোর ও যুবকের সংখ্যা বেশি।
এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতন মহল মনে করছেন, সাঁতার শেখানোর কার্যক্রম চালু করা অতীব জরুরি। কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দীন আজাদ বলেন, এক সময় কাপ্তাইয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো, যা শিক্ষার্থীদের সাঁতার শিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বর্তমানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও সাঁতার শেখানোর বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কাপ্তাইয়ে একটি সুইমিং পুল নির্মাণ করা হলে এখানকার শিশুকিশোরসহ সবাই উপকৃত হবেন।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক রনি জানান, কাপ্তাইয়ে বিশাল জলরাশি থাকার কারণে এখানকার বাসিন্দাদের সাঁতার জানা অত্যন্ত জরুরি। তবে, এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ বা আয়োজন দেখা যাচ্ছে না। তিনি দ্রুত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন যাতে নদীতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করা যায়।
কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সাঁতার শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।








