অনলাইন ডেক্স: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই সপ্তাহের শেষেই ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে এবং তার প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত কাজ করছে।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তাও জানিয়েছেন, আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং চুক্তিটি কয়েক ঘণ্টা, কয়েক দিন বা কিছু সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়িত হতে পারে।
গত রোববার (১২ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেন। পরদিন তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গেও কথা বলেন। আল-থানি এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন।
ইসরায়েলি সামরিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, চুক্তির প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে পারে। এর মধ্যে শিশু, নারী, নারী সৈনিক, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত। তবে ইসরায়েল মনে করে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন হয়তো মারা গেছেন। এ নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রায় সম্পন্ন। এটি সপ্তাহান্তে কার্যকর হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি এই চুক্তি না হয়, তাহলে এমন বিপদের সৃষ্টি হবে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। আমি শুনেছি একটি হ্যান্ডশেক হয়েছে এবং তারা এটি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে।”
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে। বিশ্বজুড়ে অনেকেই আশা করছেন, এই চুক্তি গাজায় চলমান সহিংসতার অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।








