পাহাড়ি আদা স্বাদে, গুণে ও লাভে অনন্য

অনলাইন ডেক্স: আদা মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। রান্নায় এর ব্যবহার অত্যন্ত সাধারণ, তবে পাহাড়ি আদার কদর অনেক বেশি। আদা চাষে ঝুঁকি কম, লাভও বেশি, এবং এতে তেমন কোনো রোগবালাই বা পোকামাকড়ের আক্রমণের সম্ভাবনা না থাকায় পতিত জমিতে বা বিভিন্ন স্থানে চাষ করা সম্ভব।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ করা হয়, এবং বর্তমানে আদা সংগ্রহের মৌসুম চলছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাহাড়ি আদা দেখা যাচ্ছে, যা মানে ভালো এবং দামেও সস্তা। সাধারণত পার্বত্য অঞ্চলে স্থানীয় ও থাই জাতের আদা চাষ করা হয়, তবে থাই জাতের আদা আকারে বড় হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে আদা লাগানো হয়, এবং পৌষ মাসে পাতা শুকাতে শুরু করলে আদা তোলা হয়।

কাপ্তাই ওয়াগ্গা ইউনিয়নের চাষী জয়ধন তঞ্চঙ্গ্যা, সমীরণ তঞ্চঙ্গ্যা এবং অন্যরা জানান, প্রতিবছর তারা আদা চাষ করেন, এবং পাহাড়ে আদা চাষের ফলন ভালো হওয়াতে অন্যরাও এ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তারা বলেন, আদা চাষ তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহে সাহায্য করছে।

কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি বাজারে আদা বিক্রির জন্য আসা চাষী স্বপ্না মারমা, চাউচিং মারমা এবং অন্যরা জানান, পাহাড়ি আদার মান ভালো হওয়ায় তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয় হচ্ছে। পাইকাররা এসব আদা নিয়ে যান, এবং খুচরা বাজারেও বিক্রি হয়। দাম যাই হোক, পাহাড়ি আদা কিনতে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকে।

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান আহমেদ জানান, আদা একটি উচ্চমূল্যের ফসল। কাপ্তাইয়ে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার মেট্রিক টন আদার ফলন হয়। এখানকার পাহাড়ে স্থানীয় জাতের আদার ফলন বেশি এবং সারাদেশে এই জাতের বীজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ স্থানীয় কৃষকদের আদা চাষে সহযোগিতা করছে, ফলে পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *