যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের পাল্টা ব্যবস্থা নেবে কানাডা ও মেক্সিকো

অনলাইন ডেক্স: কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার জবাবে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশ দুটি। স্থানীয় সময় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

ট্রুডো জানান, কানাডা ১৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে, যার মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপর শুল্ক কার্যকর হবে আগামী মঙ্গলবার থেকে এবং বাকি অংশ পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। তবে এটি মার্কিন ডলার নাকি কানাডিয়ান ডলারে নির্ধারিত হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, “কানাডিয়ান ও আমেরিকানদের জন্য আসন্ন সপ্তাহগুলো কঠিন হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও আমাদের জবাবের প্রভাব উভয় দেশের জনগণ ও কর্মীদের ওপর পড়বে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি, কিন্তু কানাডার স্বার্থ রক্ষায় এবং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সফল অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে আমরা পিছিয়ে আসবো না।”

এদিকে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি জানান, মেক্সিকোর স্বার্থ রক্ষায় তিনি অর্থমন্ত্রীকে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ পদক্ষেপসহ ‘প্ল্যান বি’ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য কোনোভাবেই লাভজনক হবে না।

এর আগে, শনিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর আমদানি পণ্যে ২৫ শতাংশ এবং চীনের পণ্যে বিদ্যমান শুল্কের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউজের তথ্য অনুযায়ী, এই শুল্ক আগামী মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল সংকট মোকাবিলার জন্য তিনি এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিয়াভিট জানিয়েছেন, “অবৈধ ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা লাখ লাখ আমেরিকানকে হত্যা করেছে।”

তবে ট্রুডো এ বিষয়ে বলেন, “কানাডা থেকে মাত্র এক শতাংশেরও কম ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। একইভাবে, এক শতাংশেরও কম অবৈধ অভিবাসী কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যায়।”

উল্লেখ্য, চীন, কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার। দেশটি মোট আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ এসব দেশ থেকে নিয়ে থাকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *