অনলাইন ডেক্স: মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিএনআই) নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড। এটি মার্কিন সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা–সম্পর্কিত পদ।
তবে, তুলসীর কোনো গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই এবং তিনি আগে কোনো গোয়েন্দা কমিটির সদস্যও ছিলেন না। এই সীমাবদ্ধতার কারণে সিনেটে বিতর্ক তৈরি হয়—তিনি কীভাবে ১০ হাজার কোটি ডলারের বিশাল বাজেট পরিচালনা করবেন।
ডেমোক্র্যাটরা তার নিয়োগের বিরোধিতা করলেও ৫২-৪৮ ভোটে তিনি সিনেটের অনুমোদন পান। তার পক্ষে সব ভোটই রিপাবলিকানদের। তবে রিপাবলিকান দলের সাবেক সিনেট নেতা মিচ ম্যাককনেল এই মনোনয়নের বিরোধিতা করেছিলেন।
গোয়েন্দা কমিটির অনুমোদন পাওয়া গ্যাবার্ডের জন্য সহজ ছিল না। যদিও তিনি প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান, তবুও রিপাবলিকানদের সমর্থন আদায়ে সফল হন।
গ্যাবার্ড অতীতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় সমালোচিত হয়েছেন। এছাড়া, জাতীয় নিরাপত্তার গোপন তথ্য ফাঁস করা অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করায় বিতর্কের মুখেও পড়েছিলেন।
৪৩ বছর বয়সী গ্যাবার্ড একজন মার্কিন সেনা রিজার্ভিস্ট এবং ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধান করবেন এবং প্রেসিডেন্টের প্রধান গোয়েন্দা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।
গ্যাবার্ডের নিয়োগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা নীতিতে কী পরিবর্তন আসে, তা এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: ফক্স নিউজ








