ঢাকা: বাংলা লোকসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন ৭১ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন এই গুণী শিল্পী। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা যায়, সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে …
লোকসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ফরিদা পারভীন আর নেই

ঢাকা: বাংলা লোকসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন ৭১ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন এই গুণী শিল্পী। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ফরিদা পারভীন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার পেশাদার সংগীতজীবনের যাত্রা শুরু হয়। ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তার গানের হাতেখড়ি হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের গান গাইলেও লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই তিনি শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
লালনসংগীতে তার এই যাত্রা শুরু হয়েছিল এক আকস্মিক ঘটনার মধ্য দিয়ে। একজন হোমিও চিকিৎসকের অনুরোধে তিনি লালনগীতি গাইতে শুরু করেন এবং পরে মকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছে তালিম নেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি লালনের গান গেয়ে কাটিয়েছেন।
ফরিদা পারভীন শুধু দেশেই নয়, জাপান, সুইডেন, ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশে লালনসংগীত পরিবেশন করে এই ধারাকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করে তুলেছেন। লালনসংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৭ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারে ভূষিত হন। তার মৃত্যুতে বাংলা সংগীতজগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
Subscribe to Our Newsletter
Keep in touch with our news & offers









